ফিজিক্যাল ও স্পেস ওশানোগ্রাফি (ভৌত ও স্পেস সমুদ্রবিজ্ঞান) বিভাগ বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৫ (আর্টিকেল ৮) এর মাধ্যমে সৃষ্ট ৬টি বিভাগের একটি । বিভাগটিতে বর্তমানে সিটিডি, রসেট স্যামপ্লার, ইকো সাউন্ডার, টোটাল স্টেশন, স্পেক্টোফটোমিটার ইত্যাদি যন্ত্রপাতি রয়েছে । এই বিভাগ বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল, দ্বীপাঞ্চল ও সমুদ্রের উম্মুক্ত স্থানের প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখতে প্রয়াসী ।
ভৌত সমুদ্রবিজ্ঞান সমুদ্রের বিভিন্ন ভৌত বৈশিষ্ট্য যেমনঃ তাপমাত্রা, লবণাক্ততা, দ্রবীভূত রাসায়নিক উপাদান, গ্যাসগুলির ঘনত্ব ইত্যাদির বন্টনের পাশাপাশি মহাসাগরের স্রোত, জোয়ার ভাটা এবং ঢেউ সম্পর্কিত গবেষণা করে । ভৌত সমুদ্রবিজ্ঞান গবেষণা পধতির মধ্যে তত্ত্ব, সরাসরি পর্যবেক্ষণ এবং কম্পিউটার সিমুলেশন অন্তর্ভুক্ত। ভৌত সমুদ্রবিজ্ঞান প্রায়শই পৃথিবীর জলবায়ুর গতিশীলতা এবং ভবিষ্যৎ চিত্র নির্মাণ সম্পর্কিত গবেষণা করে থাকে । উপকূলীয় এবং ইস্টুয়ারিন অঞ্চলগুলিতে টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে উক্ত অঞ্চলের মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নেও ভৌত সমুদ্রবিজ্ঞান ভুমিকা রাখে ।
বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে মহাকাশে স্যাটেলাইট প্রেরণ করা হয়েছে যার মাধ্যমে সমুদ্রের বিশাল এলাকার উপর সহজেই গবেষণা করা সম্ভব হচ্ছে । স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য দূর অনুধাবন প্রযুক্তির সাহায্যে সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা, লবণাক্ততা, পানির স্বচ্ছতা, সমুদ্রের পানির উচ্চতা, মেরিন ইকোসিস্টেম ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ ও বিশদ গবেষণা করা হয় ।
ভৌত ও মহাকাশ সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের গবেষণা ক্ষেত্র